ঠাকুরগাঁও বড়গাঁওয়ের নুরুল ইসলাম দু:সাহসিক ও ত্যাগী নেতা

ঠাকুরগাঁও বড়গাঁওয়ের নুরুল ইসলাম দু:সাহসিক ও ত্যাগী নেতা

মাহমুদ আহসান হাবিব,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥

 

আ’লীগের দু:সময়ের দু:সাহসিক ও ত্যাগী এক নেতার নাম সদর উপজেলার বড়গাঁওয়ের নুরুল ইসলাম নুরু। ২০০২ সালে সম্মেলনের মধ্যদিয়ে বড়গাঁও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে ২০ সাল পর্যন্ত পর-পর ৩ মেয়াদে সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। আ.লীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রমে সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বড়গাঁও ইউনিয়ন আ.লীগকে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন নুরুল ইসলাম নুরু।

সদর উপজেলার বড়গাঁও এলাকায় বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১১ সালে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ইউনিয়নবাসীর দাড়গোড়ায় প্রয়োজনীয় সেবা পৌছে দিয়ে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একজন ব্যক্তি হয়ে ওঠেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানা যায়, জেলার কৃতী ফুটবলার নুরুল ইসলাম ৭২ সালে মেট্রিক পাশ করে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। তৎকালীন ঠাকুরগাঁও মহকুমার ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তিনি ছাত্রলীগের হয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন। পরবর্তীতে জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। ৮৪ সালে থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরবর্তীতে সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত থানা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন নুরুল ইসলাম নুরু।

নুরুল ইসলাম নুরুর সাথে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রজীবন থেকে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল নীতি ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে জাতীর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দেশরতœ শেখ হাসিনার সকল প্রকার নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৃনমূলের একজন একনিষ্ট কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও তিনি বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে ইচ্ছুক। এলাকায় জনসমর্থনও রয়েছে প্রচুর।
বড়গাঁও ইউনিয়নের কেশুরবাড়ী গ্রামের ভবেন্দ্র দেবনাথ, ক্ষেনপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন, কিশামত কেশুড়বাড়ি গ্রামের কুপেন চন্দ্র বর্মন জানান, নুরুল ইসলাম একজন ত্যাগী নেতা। আর্তমানবতার সেবায় তিনি উজ্জ্বল দৃষ্টান্তকারী। এলাকার গরীব-দু:খি ও অসহায় মানুষের আশা-ভরসা এবং বিশ্বাসের শেষ আশ্রয়স্থল । তিনি এলাকার মানুষের কাছে মানবতার উজ্জ্বল এক প্রতীক, একজন দক্ষ সংগঠক। বিগত সময়ে তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন এ ইউনিয়নের মানুষজনের কাছে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। এবছরও আমরা চাই তিনি দলীয় মনোনয়ন পাক। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আমাদের এলাকার মানুষজনের জন্য পুনরায় সেবার মাধ্যমে নিজেকে বিলিয়ে দিক।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন